বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বড় ইনানী ঘোনার মোড় এলাকায় করোনাকালিন সহায়তা প্রভাবশালীর ঘরে!

সিফাত মাহমুদ আকিব : করোনা কালিন সময়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে দেয়া কোন অনুদান বা সহায়তা পাননি উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের বড় ইনানী ঘোনার মোড় এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষ।

এসব মানুষের অভিযোগ, এলাকার কিছু প্রভাবশালী মানুষ, প্রভাবশালী নেতা, গ্রামের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী পেশায় কর্মরত মানুষ তাদের নিজেদের প্রভাব দেখিয়ে নিজেরা সহ তাদের নিকটজনদের নাম তালিকায় নাম যুক্ত করেন। আর স্বজনপ্রীতির মধ্যদিয়ে তৈরী তালিকা মতে স্বচ্ছ পরিবারের সদস্যরাই অনুদানের ভাগিদার হচ্ছে। একই সঙ্গে হত দরিদ্র মানুষ এ সহায়তা পাননি কোনভাবে।

জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বড় ইনানী ঘোনার মোড় গ্রামের গিয়ে কথা হয় মৃত মোজাফফর আহমদ এর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫), ফজল করিম এর স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৬১), অন্ধ মৃত আছিয়ুর রহমান এর পুত্র সৈয়দ হোসেন (৬৫), মৃত আমির হোসেন এর স্ত্রী সাজেদা বেগম (৪৮), মৃত আনু মিয়ার স্ত্রী পঙ্গু হাজেরা খাতুন (৭৫), ইসলাম মিয়ার স্ত্রী কুলসুম খাতুন (৮০) সহ আরো অনেকের সাথে। যারা সকলেই বয়সে প্রবীন।

তাদের অভিযোগ, করোনার অনুদান হিসেবে সরকার কতৃক এবং বিভিন্ন এনজিও-র দেওয়া অনুদান তারা পায়না। দেখা যায় গ্রামের কিছু প্রভাবশালী মানুষ, গ্রামের প্রতিনিধি সেই সব অনুদানের ভাগিদার হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের অসহায় গরীব মানুষরা পায়না কোনো অনুদান।

কিছু এনজিও সংস্থার কর্মকতা গ্রামে আসে গরীব কেটে খাওয়া অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি করতে। কিন্তু গ্রামের কিছু প্রতিনিধি তাদের প্রভাব দেখিয়ে নিজেদের নাম সহ তাদের আত্নীয়স্বজনের নাম তালিকায় দেন।

কিছু কিছু গরীব মানুষের কাছ থেকে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করে, কিন্তু অনুদান দেওয়ার সময় কেউ পায় না তাদের অনুদান। জিজ্ঞেস করলে প্রতিনিধিরা জবাব দেয় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু দেখা যায় প্রভাবশালী মানুষ এবং প্রতিনিধিদের বাড়িতে ঠিকই অনুদানের জিনিসপত্র পোঁছাচ্ছে।

এলাকার হতদরিদ্র মানুষ জানান, তালিকায় যাদের নাম দেয়া হয় তাদের কোনো আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই, অনেকেই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী চাকরিতে যুক্ত আছেন। খুব সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারেন, তাদের অনেকের দালান ঘর রয়েছে, অনেকের পরিবারের লোকজন প্রবাসী।

এ বিষয়টি নজরে দেয়ার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ওই এলাকার হত দরিদ্র মানুষরা। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি জাফর আলম বলেছেন, এলাকার এই মানুষজন এখনো পর্যন্ত কোনো অনুদান পাননি। সকলের প্রতি তিনি অনুরোধ যাতে এলাকার গরীব অসহায় মানুষ তাদের নায্য অধিকার পান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888